২৪খবরবিডি: 'অনিয়ম-দুর্নীতির' সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের ওপর ধারাবাহিক হামলাকে 'গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের অপপ্রয়াস' হিসেবে বর্ণনা করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এসব ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে সমস্ত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার দাবি করেছে সংস্থাটি।'
বুধবার (১০ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি ধারাবাহিকভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং ক্ষমতার অপব্যবহার, হামলা-মামলা ও বিচারহীনতার ও মাধ্যমে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের চলমান প্রক্রিয়ার শঙ্কাজনক অপপ্রয়াসের অব্যাহত প্রবণতা। এসব ঘটনায় তাৎক্ষণিক কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও বাস্তবিক অর্থে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিচার শেষ হয় না উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকের সুরক্ষা নিশ্চিতে সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রতিটি ঘটনায় অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সাংবাদিকদের সুরক্ষায় বিশেষ আইন করা জরুরি।-বিবৃতিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি চিকিৎসা খাতসহ বিভিন্ন জনসেবা প্রদানকারী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য সংগ্রহকালে বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রিকার সাংবাদিকদের ওপর নৃশংস হামলার ঘটনায় স্পষ্ট যে, দুর্নীতিবাজরা কতটা বেপরোয়া, ক্ষমতাধর এবং সংঘবদ্ধ। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী তো বটেই, রাষ্ট্রীয় কোনও কর্তৃপক্ষকেই তারা পরোয়া করে না। এই বেপরোয়া আচরণ প্রমাণ করে, কোনও না কোনও প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় তারা সুরক্ষা ও দায়মুক্তি পেয়ে থাকে।
-তিনি বলেন, এবছরের শুরু থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অন্তত ১১৯ জন সাংবাদিক নানামুখী হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৩৮ জন পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার এবং ১৯ জন প্রকাশিত সংবাদের দায়ে মামলার শিকার হয়েছেন।
সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা 'গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের অপপ্রয়াস': টিআইবি
'সার্বিকভাবে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ এবং বিশেষ করে, তথ্য প্রকাশ ও বাকস্বাধীনতা নিশ্চিতের স্বার্থে মুক্ত সাংবাদিকতার পথ উন্মুক্ত করতে সাংবাদিকদের ওপর সংঘটিত প্রতিটি নির্যাতন, হয়রানি ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি সাংবাদিকদের সুরক্ষায় বিশেষ আইন প্রণয়নের দাবি জানান ড. ইফতেখারুজ্জামান।'